স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এরদোয়ান হাসিমুখে মেলোনিকে বলছেন, ‘আপনাকে বিমান থেকে নামতে দেখছিলাম। দারুণ দেখাচ্ছিল আপনাকে। কিন্তু আপনার এ ধূমপানের অভ্যাস আমাকে ছাড়াতেই হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় যখন বিশ্বের শীর্ষ নেতারা একজোট, তখন সেই বৈঠকের ফাঁকে এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি। কিন্তু এরদোয়ানের নজর পড়ল ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির দিকে। তবে রাজনৈতিক অর্থে নয়, একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়ে— ধূমপান। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এরদোয়ান হাসিমুখে মেলোনিকে বলছেন, ‘আপনাকে বিমান থেকে নামতে দেখছিলাম। দারুণ দেখাচ্ছিল আপনাকে। কিন্তু আপনার এ ধূমপানের অভ্যাস আমাকে ছাড়াতেই হবে।মেলোনিও সঙ্গে সঙ্গেই হেসে জবাব দিলেন, ধূমপান ছেড়ে দিলে হয়তো তিনি ‘কম বন্ধুসুলভ’ হয়ে উঠবেন। আর তার মজার ছলে বলা কথায় চারপাশে হাসির রোল পড়ে যায়। এ সময় পাশেই দাঁড়ানো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁও মজা করে বলেন, মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ানো প্রায় অসম্ভব কাজ।এর আগে, এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক বইয়ে ইতালির এ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ধূমপান তার কাছে শুধু অভ্যাস নয়, কখনো কখনো সেটাই তাকে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে সাহায্য করে। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রেও নাকি সিগারেটই ছিল তার ‘কমন গ্রাউন্ড’। অন্যদিকে, এরদোয়ান বহুদিন ধরেই তামাকবিরোধী প্রচারণায় পরিচিত মুখ। তিনি নিজের দেশকে ধূমপানমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তুরস্ক ‘স্মোক-ফ্রি তুর্কিয়ে’ নামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তুরস্ক সরকার ২০২৪-২০২৮ সালের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণদের তামাক সেবন থেকে রক্ষা করা ও ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করা। প্রসঙ্গত, মেলোনি ও এরদোয়ান উভয়েই মিশরের শর্ম আল-শেখ রিসর্ট শহরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি টেকসই করা ও বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন পুনর্গঠনের পথ তৈরি করা। মূলত এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি আলোচনার ধারণাকে আন্তর্জাতিক সমর্থন দিতেই আয়োজনটি করা হয়েছিল।
Posted ৯:১৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta